পায়খানা-প্রস্রাবের বর্ণনা
পায়খানা-প্ৰস্রাব করতে গিয়ে মানুষের সভ্য রীতিনীতি অবলম্বন করা অপরিহার্য কর্তব্য। অন্যান্য জীব-জন্তুর ন্যায় উন্মুক্তভাবে তার পায়খানা-প্ৰস্রাব করা চলে না। অতএব পায়খানা-প্ৰস্রাবের জন্য চার দেয়াল এবং ছাদ বিশিষ্ট একটি প্রকােষ্ঠ তৈরি করা আবশ্যক।
পায়খানা-প্ৰস্রাবের নিয়ম-কানুন
পায়খানা-প্ৰস্রাবের হাজত হলে নির্দিষ্ট স্থানে গমন করে নিম্নোক্ত দোয়া পাঠ করে প্রথম বাম পা বাড়িয়ে উক্ত প্ৰকােষ্ঠে ঢুকবে। দোয়া না জানলে বা পড়তে ভুল হলে মনে মনে ‘বিসমিল্লাহ’ পাঠ করবে। ভেতরে ঢুকে দাড়ানাে অবস্থায় কাপড় উন্মোচন না করে বসার সময় উন্মোচিত করবে। ঢিলা-কুলুখ সাথে নিয়ে যাবে। কেবলার দিকে মুখ দিয়ে বা পিছন ফিরিয়ে বসবে না।
পায়খানা-প্ৰস্রাব অবস্থায় বিড়ি সিগারেট সেবন করবে না, সেটা এমনিই মাকরূহ তাহরীমী। পায়খানা-প্ৰস্রাব অবস্থায় সেবন করা আরো বেশি অন্যায়।
পায়খানা-প্ৰস্রাব অবস্থায় কোন কিছু পানাহার করা, কথা-বার্তা বলা, কাউকে সালাম দেয়া না কারো সালামের জবাব দেয়া, মনে মনে কুরআন পাঠ করা প্রভৃতি মাকরূহ।
বসা অবস্থায় চারদিকে বা আকশের দিকে তাকাবে না, লজ্জা স্থানের দিকেও তাকিয়ে থাকা ঠিক নয়। মনে মনে কোন চিন্তা-ভাবনা করবে না। সাথে কুরআন-হাদীসের কোন আয়াত, কালাম বা আল্লাহ রাসুলের নাম লিখিত কাগজাদি নিয়ে ঢুকবে না।
পায়খানায় গিয়ে হাজত শেষ হয়ে গেলে অযথা দেরি না করে প্রথমে কুলুখ ব্যবহার করে পানি দ্বারা শৌচ করে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আসবে। পায়খানায় অধিক সময় বসে থাকলে অর্শ রােগ হওয়ার সম্ভবনা থাকে। পায়খানা-প্ৰস্রাব করার জন্য ঢুকা ও বেরিয়ে আসার সময় নিম্নোক্ত দোয়াটি পাঠ করবে।
পায়খানায় প্রবেশের দোয়া
اَللَّهُمَّ اِنِّيْ اَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْخُبُثِ وَالْخَبَائِثِ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল খুবুছি ওয়াল খাবাইছ।
অর্থঃ হে আল্লাহ, আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি দুষ্ট পুরুষ জ্বিন ও দুষ্ট নারী জ্বিনের অনিষ্ট থেকে। (সহীহ বুখারি, হাঃ ৬৩২২)
পায়খানা হতে বের হওয়ার দোয়া
غُفْرَانَكَ اَلْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِيْ اَذْهَبَ عَنِّي الْاَذَى وَعَافَانِيْ
উচ্চারণঃ গুফরানাকা আলহামদু লিল্লাহিল্লাযি আযহাবা আননিল আযা ওয়া আফানী।
অর্থঃ আমি আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিতেছি। সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহর, যিনি কষ্টকর জিনিস আমার থেকে বের করিয়ে দিয়েছেন এবং আমাকে নিরাপত্তা দান করিয়াছেন। (ইবনে মাজাহ, হাঃ ৩০১)