এস্তেঞ্জার পদ্ধতি।

এস্তেঞ্জার পদ্ধতি

পায়খানা প্রস্রাবের পরে ঢিলা-কুলুখ কিংবা পানি দিয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হওয়াকে এস্তেঞ্জা বলে। যে কোন বস্তু দ্বারা হোক এন্তেঞ্জা করে পবিত্র হওয়া ফরজ এবং তার নির্দিষ্ট বিধি-বিধানগুলো মেনে চলা সুন্নত।


পায়খানা-প্রস্রাব উভয় স্থলে শুধু পানি দিয়ে এস্তেঞ্জা করা গেলেও ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করা সুন্নত। কোন কোন সময় শুধু ঢিলা-কুলুখ দিয়ে এস্তেঞ্জা করলেই পবিত্রতা হাসিল হয় চাই পানি থাকুক এবং নাই বা থাকুক। যথাঃ মল যদি শুকনো কঠিন হয় এবং গুহ্যদ্বারের মুখ হতে মল যদি একটুও গড়িয়ে চারপাশে না লাগে, তবে শুধুমাত্র ঢিলা-কুলুখ দ্বারা ভালভাবে পরিষ্কারকরলেই চলবে। তবে যদি তা গড়িয়ে চারপাশে লেগে যায় এবং যদি এ নাজাসাতের পরিমাণ এক দিরহাম অপেক্ষা কম হয়, তবে তা পানি দিয়ে ধৌত করা ওয়াজিব। আর এক দিরহামের বেশি হলে ফরয। বাম হাত দ্বারা এন্তেঞ্জা করবে এবং ডান হাত দিয়ে পানি ঢেলে দেবে। কুলুখ ব্যবহারকালেও বাম হাত ব্যবহার করবে।

যে সকল বস্তু দিয়ে কুলুখ ব্যবহার করা যায়

১। মাটির ঢিলা, ২। পাথরের টুকরো, ৩। ছেঁড়া ন্যাকড়া, ৪। শুকনো বৃক্ষপত্র, ৫। শুকনো ঘাস, ৬। শুপারি বা নারকেলের ছোলা। এছাড়া এমন বস্তুসমূহ, যা দ্বারা পরিষ্কার হওয়া যায় এবং ঐ সকল জিনিস যা দ্বারা অন্য কোন প্রয়োজনীয় কাজ হয় না।

যে সব বস্তু কুলুখে ব্যবহার জায়েয নয়

লৌহ, তাম্র, পিতল, স্বর্ণ, রৌপ্য, কয়লা, চুনা, মসজিদের মাটি, গৃহের দেয়াল, কাঁচা ঘাস, কাঁচা কুটা, কাঁচা পর, চুল, গৌফ, মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, লিখিত বা অলিখিত কাগজ, ফল, তরকারী, শস্য, হালাল বা হারাম জন্তুর মাংস, পশম, হাড় শিং, যে বস্তুর দ্বারা একবার কুলুখ নেয়া হয়েছে, এসব বস্তু দ্বারা কুলুখ ব্যবহার করা মাকরূহ।


তরল পদার্থের মাঝে খেজুর রস, ডাবের পানি, তালের রস, ইক্ষুর রস বা যে কোন ফল-ফলাদির রস ইত্যাদি বস্তুগুলাে যেহেতু উত্তম খাদ্য এবং মূল্যবান বস্তু; সেহেতু তা দ্বারা এস্তেঞ্জা করা মাকরূহ।


এছাড়া কতগুলো তরল পদার্থ রয়েছে; তৈলাক্ত বিধায় তা দ্বারাও পবিত্রতা হাসিল হয় না। যেমনঃ দুধ, ঘি, তেল, সিরকা প্রভৃতি। এগুলো এস্তেঞ্জায় ব্যবহারে দু'টো অপরাধ। প্রথমত এগুলা মূল্যবান বস্তু, দ্বিতীয়তঃ এগুলো দ্বারা পবিত্রতাও হাসিল হয় না।

পায়খানা-প্ৰস্রাবের নিয়ম-কানুন

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Ok, Go it!