হায়েযের বর্ণনা ও হায়েযের কতিপয় মাসায়েল

হায়েযের বর্ণনা ও হায়েযের কতিপয় মাসায়েল

স্বাভাবিক অবস্থায় বালেগা নারীর রেহেম তথা গর্ভধার হতে প্রতি মাসে অনায়াসে যোনিপথ দিয়ে কিছুদিন যে রক্তস্রাব হয়, তাকে হায়েয বলে। মূলতঃ এর নিম্নতম মুদ্দত তিন দিন তিন রাত এবং উর্ধ্বতম মুদ্দত দশদিন দশ রাত। এটা সচরাচর নয় বছর বয়ঃক্রমকাল থেকে পঞ্চাশ কিংবা ষাট বছর বয়ঃক্রমকাল পর্যন্ত চলতে থাকে। উল্লেখ্য যে, বয়ঃক্রমকালের পূর্বে কিংবা পরে রক্তস্রাব দেখা দিলে তা হায়েয নয়; সেটা এস্তেহাযা বা রোগের রক্ত বলে বুঝতে হবে।


মনে রাখবে, হায়েযওয়ালী নারীদের জন্য শরীয়তে যেসকল বিধি-নিষেধ রয়েছে, এস্তেহাযাওয়ালী নারীদের জন্য তা প্রযোজ্য নয়। গর্ভধারণ করলে সন্তান প্রসব না হওয়া অবদী নারীদের হায়েয বন্ধ থাকে। এ সময় যদি কােনরূপ রক্তস্রাব দেখা যায়, তবে বুঝতে হবে যে, তা হায়েয নয় বরং এস্তেহাযা বা রোগের-রক্ত।


আর স্বাস্থ্যবতী নারীদের প্ৰতি মাসে (গর্ভকাল ছাড়া) নিয়মিত রক্তস্রাব হলেও অনেক স্বাস্থ্যহীনা এবং রোগাক্রান্ত নারীদের কোন কোন মাসে রক্তস্রাব বন্ধ থাকতেও দেখা যায়। প্রায় মহিলাদেরই প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট মুদ্দত রক্তস্রাব হয়; কিন্তু অনেকেরই আবার কখনো ঐ মুদ্দত কাল কম বেশি হয়ে থাকে। অর্থাৎ কোন মাসে চারদিন, কোন মাসে ছয়দিন, আবার কোন মাসে তিন দিন এভাবে হয়। যা হোক, বিবাহিত-অবিবাহিত উভয় নারীদেরই হায়েযের নিম্নতম মুদ্দত তিনদিন তিনরাত এবং উর্ধ্বতম দশদিন দশরাত। (হেদায়া, আল হিন্দি)


দু হায়েযের মধ্যবর্তী পবিত্র অবস্থার নিম্নতম মুদ্দত পনের দিন উর্ধ্বতম মুদ্দতের কোন নিদিষ্ট সীমা নেই। দু'হায়েযের এ মধ্যবর্তী সময়কে ‘তুহুর' বলে। হায়েযের রক্তের রং সাধারণতঃ লাল, কালো, ধূসর, হলুদ, সবুজ, দুমল মোট এ ছয় প্রকার হয়ে থাকে। হায়েযের সময় নারীদের প্রতি নামায ও রোযা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ঐ নামাযের কাজাও করতে হয় না, কিন্তু পরে ঐ রোযার কাযা আদায় করতে হয়।

 স্বাভাবিক অবস্থায় বালেগা নারীর রেহেম তথা গর্ভধার হতে প্রতি মাসে অনায়াসে যোনিপথ দিয়ে কিছুদিন যে রক্তস্রাব হয়, তাকে হায়েয বলে। মূলতঃ এর নিম্নতম মুদ্দত তিন দিন তিন রাত এবং উর্ধ্বতম মুদ্দত দশদিন দশ রাত। এটা সচরাচর নয় বছর বয়ঃক্রমকাল থেকে পঞ্চাশ কিংবা ষাট বছর বয়ঃক্রমকাল পর্যন্ত চলতে থাকে। উল্লেখ্য যে, বয়ঃক্রমকালের পূর্বে কিংবা পরে রক্তস্রাব দেখা দিলে তা হায়েয নয়; সেটা এস্তেহাযা বা রোগের রক্ত বলে বুঝতে হবে।


মনে রাখবে, হায়েযওয়ালী নারীদের জন্য শরীয়তে যেসকল বিধি-নিষেধ রয়েছে, এস্তেহাযাওয়ালী নারীদের জন্য তা প্রযোজ্য নয়। গর্ভধারণ করলে সন্তান প্রসব না হওয়া অবদী নারীদের হায়েয বন্ধ থাকে। এ সময় যদি কােনরূপ রক্তস্রাব দেখা যায়, তবে বুঝতে হবে যে, তা হায়েয নয় বরং এস্তেহাযা বা রোগের-রক্ত।


আর স্বাস্থ্যবতী নারীদের প্ৰতি মাসে (গর্ভকাল ছাড়া) নিয়মিত রক্তস্রাব হলেও অনেক স্বাস্থ্যহীনা এবং রোগাক্রান্ত নারীদের কোন কোন মাসে রক্তস্রাব বন্ধ থাকতেও দেখা যায়। প্রায় মহিলাদেরই প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট মুদ্দত রক্তস্রাব হয়; কিন্তু অনেকেরই আবার কখনো ঐ মুদ্দত কাল কম বেশি হয়ে থাকে। অর্থাৎ কোন মাসে চারদিন, কোন মাসে ছয়দিন, আবার কোন মাসে তিন দিন এভাবে হয়। যা হোক, বিবাহিত-অবিবাহিত উভয় নারীদেরই হায়েযের নিম্নতম মুদ্দত তিনদিন তিনরাত এবং উর্ধ্বতম দশদিন দশরাত। (হেদায়া, আল হিন্দি)


দু হায়েযের মধ্যবর্তী পবিত্র অবস্থার নিম্নতম মুদ্দত পনের দিন উর্ধ্বতম মুদ্দতের কোন নিদিষ্ট সীমা নেই। দু'হায়েযের এ মধ্যবর্তী সময়কে ‘তুহুর' বলে। হায়েযের রক্তের রং সাধারণতঃ লাল, কালো, ধূসর, হলুদ, সবুজ, দুমল মোট এ ছয় প্রকার হয়ে থাকে। হায়েযের সময় নারীদের প্রতি নামায ও রোযা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ঐ নামাযের কাজাও করতে হয় না, কিন্তু পরে ঐ রোযার কাযা আদায় করতে হয়।

হায়েযের কতিপয় মাসায়েল

১। যাদের প্রতি মাসে হায়েযের নির্দিষ্ট সময় সীমা আছে, যথাঃ চারদিন, পাঁচদিন, ছয়দিন ইত্যাদি। তাদের ঐ মুদ্দত অতিক্রম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে (অবশ্য রক্তস্রাবও বন্ধ হওয়া চাই) ওযু গোসল করে নামায আদায় করতে হবে।


২। যাদের হায়েযের সময় সীমা বিভিন্ন মাসে বিভিন্ন রকম; যেমন কােন মাসে চারদিন কোন মাসে ছয়দিন, এভাবে, তারা যে মাসে যতদিন রক্ত দেখবে ততদিন হায়েযকাল মনে করে নামায, রোজা, স্বামী সহবাস ইত্যাদি থেকে বিরত থাকবে। কিন্তু এভাবে অভ্যস্থ রমনীগণ যদি কোন মাসে দশদিনের বেশি রক্ত দেখে, তবে পূর্বের মাসে যে কয়দিন হায়েয ছিল, এ মাসেও ঠিক সেই কয়দিন হায়েযকাল ধরে বাকী দিনগুলো এস্তেহাযা মনে করবে।


৩। কোন নারী তিনদিন হায়েয হয়ে মাঝে পনেরদিন ভাল থাকার পর আবার তিনদিন রক্তস্রাব হলে আগে পিছনের উভয় তিনদিনকেই (মোট ছয়দিন) হায়েয হিসাবে ধরিবে এবং মধ্যবর্তী পনের দিনকে তুহুরকাল মনে করবে।


৪। কোন রমণীর প্রতি মাসে হায়েযের নির্দিষ্ট সময় সীমা বর্ধিত হয়ে পাঁচ, ছয় কিংবা সাতদিনে পৌছলে ঐ সম্পূর্ণ দিনগুলােকেই হায়েযকাল ধরতে হবে এবং বুঝতে হবে যে, তার হায়েযের সময় সীমা পরিবর্তিত (বর্ধিত) হয়েছে।


কিন্তু এরূপ নির্দিষ্ট মুদ্দত হায়েযওয়ালী কোন নারীর অভ্যাস পরিবর্তিত হয়ে যদি একাধারে দশ দিনের বেশি রক্ত থাকে, তবে সে পূর্বের নির্দিষ্ট মুদ্দতকাল হায়েয ধরবে এবং বাকি দিনগুলোকে এস্তেহাযা মনে করবে।


৫। হায়েযের নূন্যতম সময় সীমা তিনদিনের মধ্যে অল্প কিছু সময় রক্তস্রাবকেও হায়েয বলা যাবে না; বরং এটাকে এস্তেহাযা ধরে নিবে।


৬। কোন নারীর প্রতি মাসের প্রথম তিনদিন রক্তস্রাব হয়। হঠাৎ এক মাসে তার প্রথমদিন রক্ত দেখা দিয়ে একাধারে চৌদ্দ দিন বন্ধ থাকলাে। তার পরদিন একদিন রক্ত দেখা দিল এক্ষেত্রে উক্ত রমণী ঐ উভয় দিনকে হায়েয ধরে এবং তার সাথে আর একদিন মিলিয়ে নিয়ে মোট তিনদিন হায়েয ধরবে।


৭। হায়েযের সময় পূর্বে বর্ণিত ছয়টি বর্ণের যে কোন বর্ণের রক্তস্রাব দেখলে, তাকে হায়েয মনে করবে।


#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Ok, Go it!