নিফাসের বর্ণনা ও নিফাসের কতিপয় মাসায়েল

 নিফাসের বর্ণনা ও নিফাসের কতিপয় মাসায়েল

মহিলাদের সন্তান প্রসব অথবা গর্ভপাতের পরে যে রক্তস্রাব হয়, তাকে নিফাস বসে। নিফাসের নিম্নতম মুদ্দতের কোন সময় সীমা নেই; যেহেতু সেটা যে কোন সময় এমন কি দু-এক ঘণ্টা হয়েও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এর উর্ধ্বতম সময় সীমা চল্লিশ দিন। অর্থাৎ চল্লিশ দিনের মধ্যে রক্তস্রাব দেখা দিলে তাকে নিফাসের রক্তই মনে করতে হবে। কিন্তু চল্লিশ দিনের অধিককাল রক্তস্রাব দেখা দিলে তাকে এস্তেহাযা মনে করতে হবে। নিফাস বন্ধ হওয়া মাত্র ওযু-গোসল করতঃ নামায আদায় করবে। নিফাস সম্পর্কে শরীয়তের বিধি-নিষেধ অবিকল হায়েযেরই মত।

নিফাসের কতিপয় মাসায়েল

১। যেসব নারীর নিফাসের কোন নির্দিষ্ট সময় সীমা নেই, অর্থাৎ কােনবার পনেরদিন, কােনবার ত্রিশদিন, এভাবে নিফাস হয়, এ প্রকার নারীগণ উর্ধ্ব চল্লিশ দিন পর্যন্ত যতবার যতদিন রক্ত দেখবে, ততবার ঠিক ততদিনই নিফাস ধরে নিয়ে।


২। যাদের নিফাসকালের একটা নির্দিষ্ট সময় সীমা আছে, অর্থাৎ প্রতিবার সন্তান প্রসবের পরে পনেরদিন নিফাস হয়; কিন্তু একবার হঠাৎ রক্তস্রাব শুরু হয়ে চল্লিশ দিন অতিক্রম করে গেল। এ হালতে পূর্বের সেই নির্দিষ্ট পনের দিন নেফাসকাল ধরে বাকি দিনগুলোর রক্তস্রাবকে এস্তেহাযা ধরে নিবে।


৩। স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসব না হয় যদি গর্ভপাত হয়ে অথবা কোন নারীর সন্তানের হাত-পা বা একটি মাংসপিণ্ডের মত প্রসব হয়, তবে তাতে যে রক্তস্রাব হবে, তাও নিফাসরূপে গণ্য হবে।

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Ok, Go it!