তায়াম্মুমের বিবরণ
মানুষ আল্লাহর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি (আশরাফুল মাখলুকাত)। আল্লাহর ইবাদত বন্দেগীর দ্বারাই তাঁর সন্তুষ্টি লাভ করা যায়। সেই ইবাদত বন্দেগী করার জন্য পূর্ব শর্ত হলো অযু অথবা গোসলের। অযু ও গোসল উভয়ই করতে হয় পানি দ্বারা। যখন মানুষ সেই পানি না পায়, অথবা ব্যবহার করতে অপারগ হয় তখন কি করবেঃ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বান্দার প্রতি যথেষ্ট স্নেহ ও দয়াশীল। তাই তার বান্দার ক্ষতি হয়, অথবা হুকূম পালনে ব্যর্থ হয়ে গুনাহগার হয়ে পড়ে, তার জন্য পবিত্র কোরআন মজিদে ইরশাদ করলেন এবং হুকূম দিলেন, অযু ও গোসলে অপারগ সত্বে তায়াম্মুম দ্বারাই পবিত্রতা অর্জন করা যায়। তাই তিনি ঘোষণা করলেন, আর যদি তোমরা অসুস্থ হয়ে থাক কিংবা সফরে থাক অথবা তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি প্রস্রাব-পায়খানা থেকে এসে থাকে কিংবা নারী গমন করে থাকে, কিন্তু পরে যদি পানিপ্রাপ্তি সম্ভব না হয়, তবে পাক-পবিত্র মাটির দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও-তাতে মুখমন্ডল ও হাতকে ঘষে নাও। (সূরা নিসা, আয়াতঃ ৪৩)
তায়াম্মুম করা কখন জায়েয
» দেড় কিলোমিটার (অর্থাৎ এক মাইলের) মাঝে যদি কোথাও পাক পানি পাওয়া না যায়।
» যদি কূপের পানি তোলার জন্য কোন প্রকার পাত্র না থাকে।
» এমন পরিমাণ পানি আছে, যাতে অযু বা গোসল হয় না।
» অযু বা গোসল করতে যে পানি ব্যবহার করা হয় তাতে রোগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখা দেয়।
» পানি আনতে যেতে পথে বাঘ-ভল্লুক অথবা শত্রুর ভয় থাকে, বা সম্ভাবনা থাকে।
» পানি ক্রয় করার ক্ষমতা না থাকলে।
» প্রবাস বা মুসাফেরী অবস্থায় সাথে যে পরিমাণ পানি আছে, তা দ্বারা অযু বা গোসল করলে নিজের ও বাহন পশুর পানির অভাবে মৃত্যুর আশংকা করলে।
» অযু গোসল করতে গেলে ঈদ বা জানাযার নামায পাওয়া যাবে না, এমন আশংকা থাকলে।
» অযু বা গোসল করতে গেলে বিমান, ট্রেন বা বাস ইত্যাদি ছেড়ে যাবার আশংকা থাকলে।
» অযু বা গোসল করতে গেলে, শরীরের ক্ষতস্থানের ক্ষত বেড়ে যাবার সম্ভাবনা থাকলে।