যে যে বস্তু দ্বারা তায়াম্মুম করা যায়
পবিত্র শুকনা মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করা উত্তম। তবে মাটি না পেলে মাটি জাতীয় বস্তু যেমনঃ বালি, পাথর, চুন, সুরকী, ইট, হরিতাল, সুরমা ইত্যাদি বস্তু দ্বারাও তায়াম্মুম করা জায়েয আছে। এক কথায় মাটির তৈরি যে কোন পাত্র যথাঃ থালা, বাটি হাঁড়ি, পাতিল, মটকা দ্বারা তায়াম্মুম জায়েয। এছাড়া অন্য কোন কিছু দ্বারা জায়েয নয়।
তায়াম্মুম করার নিয়ত
نَوَيْتُ اَنْ اَتَيَمَّمَ لِرَفْعِ الْحَدَثِ وَاِسْتِبَاحَةً لِّلصَّلَوةِ وَتَقَرُّبًا اِلَى اللهِ تَعَالَى
উচ্চারনঃ নাওয়াইতু আন আতাইয়াম্মামা লিরাফ'ইল হাদাছি ওয়া ইস্তিবাহাতাল লিছছালাতি ওয়া তাক্বাররুবান ইলাল্লাহি তা’আলা।
অর্থঃ নাপাকী দূর করে সঠিকভাবে নামায আদায় করার জন্য এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভ করার উদ্দেশ্যে আমি তায়াম্মুমের নিয়ত করলাম।
অতঃপর বিসমিল্লাহ বলে তায়াম্মুম করার বস্তুর উপর হাত মারবে এবং যদি ধুলা বালি বেশি মনে হয়, তাহলে এক হাত অন্য হাতের কব্জির উপর ঝাড়া মেরে পরে অযু করতে যে পরিমাণ মুখ মণ্ডল ধৌত করা হয় ঠিক ততটুকু জায়গা একবার মুছে নিবে। দ্বিতীয় বার একইভাবে হাত মেরে হস্তদ্বয়ের কনুই পর্যন্ত একবার মুছে নিবে। স্মরণ রাখবে, এতে যেন তিল পরিমাণ জায়গাও বাদ না যায়। এরপর দুই হাতের আঙ্গুলগুলো খিলাল করে নিবে।
তায়াম্মুমের ফরয
১। তায়াম্মুমের উদ্দেশ্যে নিয়ত করা।
২। সমস্ত মুখ মণ্ডল একবার মাসেহ করা।
৩। হস্তদ্বয়ের কনুই পর্যন্ত একবার মাসেহ করা।
১। নিয়ত করে বিসমিল্লাহ বলে তায়াম্মুম শুরু করা।
২। তায়াম্মুমের বস্তুর উপর হাত রাখার সময় আঙ্গলগুলো ফাঁক করে রাখা।
৩। দুই হাত তায়াম্মুমের বস্তুর উপর রেখে সামনে পিছনে টানা।
৪। তায়াম্মুমের বস্তুর উপর থেকে হাত উঠিয়ে মৃদুভাবে ঝেড়ে নেয়া।
৫। তরতীব মতে (অর্থাৎ) প্রথমে নিয়াত করা, তারপর মুখ মণ্ডল মাসেহ করা, অতঃপর দুই হাতের কনুই পর্যস্ত মাসেহ করে তায়াম্মুম করা।
৬। খুব দ্রুততার সাথে মাসেহ কাজ শেষ করা।