ওযু ভঙ্গের কারণসমূহ
যে সব কারণে ওজু ভঙ্গ হয় বা নষ্ট হয় তা হলো-
১. পেশাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে কোনো কিছু বের হওয়া।
২. দেহের কোনো অংশ থেকে রক্ত, পুঁজ বের হয়ে যদি পবিত্র হওয়ার বিধান প্রযোজ্য হয়। অর্থাৎ গড়িয়ে পড়ে।
৩. মুখ ভর্তি বমি অর্থাৎ বেশি পরিমাণে বমি হলে।
৪. নাক দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হলে।
৫. ঘুমানো- চিৎ হয়ে; কাত হয়ে; হেলান দিয়ে কিংবা কোনো কিছুর সঙ্গে ঠেস দিয়ে ঘুমালে যা সরিয়ে ফেললে ঘুমন্ত ব্যক্তি পড়ে যাবে।
৬. অজ্ঞান হওয়ার পর; এমন অজ্ঞান যাতে বোধ শক্তি লোপ পায়।
৭. অপ্রকৃতিস্থতা। যা ঘুম বা নিদ্রার চেয়েও প্রবল।
৮. রুকু-সিজদা বিশিষ্ট নামাজে অট্ট হাসি; তবে জানাজা নামাজে, তিলাওয়াতে সিজদায় এবং নামাজের বাইরে হাসলে অযু নষ্ট হবে না।
৯. পিছনের রাস্তা দিয়ে অর্থাৎ পায়খানার রাস্তা দিয়ে কীট বের হলে পবিত্রতা অর্জন তথা অযু করতে হবে।
১০. ফোঁড়া বা ফোস্কার চামড়া তুলে ফেলার কারণে যদি পানি বা পুঁজ বের হয়ে ফোঁড়া বা ফোস্কার মুখ অতিক্রম করে তাহলে পবিত্র নষ্ট হবে।
১১. পুরুষ ও মহিলার গুপ্তাঙ্গ কোনো অন্তরায় ব্যতিত একত্রিত হলে; বীর্যপাত হোক আর না হোক ওজু নষ্ট হবে।
ওযুর মাকরূহসমূহ
১. প্রয়োজনের বেশি পানি ব্যয় করা।
২. প্রয়োজনের চেয়ে কম পানি ব্যয় করা।
৩. মুখমণ্ডলে এমনভাবে পানি নিক্ষেপ করা যে, পানির ছিঁটা অন্যত্র পড়ে।
৪. ওজুর সময় অপ্রয়োজনীয় কথা-বার্তা বলা।
৫. ওজুর সময় বিনা ওজরে অন্যের সাহায্য নেয়া।
৬. নতুন পানি নিয়ে তিনবার মাথা মাসেহ করা।
৭. বাম হাতে কুলী অথবা নাকে পানি দেয়া।
৮. ডান হাতে নাক পরিষ্কার করা।
৯. অযুর জন্য নাপাক জায়গায় বসা।